Welcome! For visit my site...

কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে।





কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে এবং শুষ্কতা সৃষ্টি হয় না। অথচ কম্পিউটার স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক কম ফেলি, এমনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর।

যথাযথ আলোর পরিবেশে কম্পিউটারে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দিনেরবেলায় কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মনিটরের উল্টোদিকে মনিটরে আলো প্রতিফলিত হয় এমন দরজা জানালা বা লাইট বন্ধ রাখুন। কম্পিউটারটি এমন স্থানে ব্যবহার করুন যেখান থেকে মনিটরে আলোর প্রতিফলন না ঘটে। আবার পুরোপুরি অন্ধকার ঘরেও কম্পিউটার চালাবেন না।

কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় পর্দার সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। বিষয়টি চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পিউটারের উজ্জ্বলতা সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা উচিত। উজ্জ্বলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূত হয়।

চোখে শিথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজ রংকে। কাজের ফাঁকে জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে তাকাতে পারেন।

কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়া বা লেখার জন্য ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন। কারণ ছোট ছোট লেখা চোখের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে।

দুই হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের ওপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটি ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে।

কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করার সময় চোখ সুরক্ষার খুব উপযোগী একটি উপায় হচ্ছে, ২০-২০-২০। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর ওপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আদ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে।

মনিটর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। মনিটরে জমা ধুলাবালি দৃষ্টিশক্তিকে ব্যাহত করে। ফলে মনিটরের অক্ষরগুলো পড়তে সমস্যা হয় এবং চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই কম্পিউটারে ধুলা-ময়লা কিংবা আঙ্গুলের ছাপ পড়তে দেবেন না।






Share on Google Plus

0 comments: